হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল বীজ প্যাকেজ (২১ প্রকার বীজ)
1,200৳ Original price was: 1,200৳ .999৳ Current price is: 999৳ .
সাথে পাচ্ছেন গাইড লাইন বই, ট্রাইকোডার্মা, সীডলিং-ট্রে ও কোকোপিট।
You may also like
No products were found for this query.
No products were found for this query.
হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল বীজ প্যাকেজ (২১ প্রকার বীজ)
(১) কোকোপিট – বীজ থেকে চারা গজানোর জন্য কোকোপিট খুব ভাল কাজ করে। সিড ট্রে তে কোকোপিট এর মধ্যে বীজ দিলে ৩/৪ দিন পর চারা গজায়। তাছাড়া গাছ লাগানোর আগে টবের মাটি রেডি করার সময় ২০কেজি মাটিতে ৫০০ গ্রাম কোকোপিট মেশাবেন। মাটির আদ্রতা ধরে রাখবে।গাছের গোড়ার মাটি শক্ত হয়ে যাবেনা। ইনডোর এর যে কোনো গাছেও মিডিয়ার/মাটির সাথে মেশাতে পারেন। তাতে মাটি খুব ই হালকা হয়ে ঝুরঝুরে হয়। এছাড়া গাছ এর চারপাশে নিড়ানি দিয়ে খুচে কোকোপিট ছড়িয়ে দিতে পারেন এতে পানি ধরে রাখবে এবং গোড়ার মাটি ড্রাই হবেনা। গরম কালে এইটা খুব কার্যকর।
২.ভার্মিকম্পোস্ট – সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের জৈব সার। এতে গাছ এর গ্রোথ বাড়ে। প্যাকেটে কোকোপিট আর ভার্মি কম্পোস্ট মিশিয়ে রেডি করে দিয়েছি আমরা। আপনি সিড ট্রে তে বিছায়ে দেন শুধু।
৩.ট্রাইকোডার্মা – উপকারি ছত্রাক বা অনুজীব। একই সাথে সার এর কাজ করে এবং ক্ষতিকর ছত্রাক নষ্ট করে দেয়।
৪.সিড ট্রে: বীজ বপনের আদর্শ জায়গা। বীজ থেকে চারা জন্মালে স্থানান্তর করা অনেক সহজ
🍀🌱শাক বীজ বপনের সহজ পদ্ধতি 🌱🍀
আগে টবের মাটিতে বেশি পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিবেন। তার উপর বীজ গুলি অল্প করে ছিটিয়ে দিবেন।খুব বেশি বীজ একজায়গায় যেন না পড়ে। প্রতি ১ ইঞ্চি জায়গায় ২/৩ টার বেশি বীজ ফেলানো যাবেনা। তার উপরে শুকনো গুড়া মাটি বা কোকোপিট ছিটিয়ে দিয়ে হালকা একটা লেয়ার দিবেন। যেন বীজ গুলি ঢেকে যায় এমন। এর পর স্প্রেয়ার দিয়ে পানি স্প্রে করে দিয়ে পলিথিন বা পেপার কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখবেন যতদিন জার্মিনেট না হয়।
প্রয়োজনে ৩ দিনে এক বার পানি স্প্রে করে দিতে পারেন ময়েশ্চার ধরে রাখতে।
এভাবে লাল শাক, ডাটা, ধনিয়া, কলমি,পাট, লেটুস,বিলাতী ধনিয়া, পালং শাক ,সাদা শাক,পুই শাক ,পাট শাক বীজ বপন করতে পারেন। এক্ষেত্রে পুই,কলমি,পালং,ধনিয়া ১০ ঘন্টা ভিজিয়ে নিতে পারেন আগে। বাকীগুলো না ভেজালেও চলবে।
প্রত্যেক বাগানীর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হল বীজ অংকুরোদগম। একজন বাগানীর সফলতার অনেকটাই নির্ভর করে এটার উপর। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় অনেক বাগানীই অংকুরোদগমে এ বিফল হয়ে এক সময় বাগান করার প্রতি অনিহা প্রকাশ করে।
অংকুদগম সম্পর্কে কিছু সাধারন ধারনা আমাদের থাকতে হবে।
অংকুরোদগমের সাধারন তথ্যঃ
একেক উদ্ভিদ এর একেক রকম বীজ -এগুলোর আকারে, বর্ণে, ওজনে, গঠনে ভিন্নতা রয়েছে । তুলনামূলক ভাবে বড় আকারের বীজ এর জার্মিনেশন সহজে করা যায় । কিন্তু অতি ক্ষুদ্র বীজ এর জার্মিনেশন এ সমস্যা বেশি হয় । ক্ষুদ্র বীজ এর ক্ষেত্রে পানি, তাপ ও আলোর তারতম্য হলে জার্মিনেশন ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। যে সব বীজের খোলস অনেক পুরো থাকে সেসবের জার্মিনেশনে অনেক সময় লাগে, যেমন- পেঁপে, পুঁই শাক, করলা, লাউ বীজ ইত্যাদি । তবে জার্মিনেশনের জন্য অবশ্যই পুষ্ট, অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা সম্পন্ন বীজ বাছাই করে নিতে হবে। জার্মিনেশন পদ্ধতি গুলোতে অধিক ফলাফল পাওয়ার জন্য একটি পূর্ব কাজ করে নিতে হবে । সেটা হলো – প্রথমে বীজ গুলো ১ ঘণ্টার মতো সময় মাঝারি তাপের রোদে রেখে দিতে হবে তারপর ৮-১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
তবে শীম, সরিষা ,শসা জাতীয় বীজ পানিতে কম সময় ভিজিয়ে রাখতে হবে।
রোদে দিলে বীজের সুপ্ত অবস্থা বা ঘুমন্ত অবস্থা দ্রুত ভেঙে যায় ।
আর ভিজিয়ে রাখলে আদ্রতা পায় যার জন্য জার্মিনেশন তাড়াতাড়ি ঘটে।
বীজ জার্মিনেশন/বপন এর আগে শোধন করে নিতে পারেন। বীজে কিছু জীবাণু সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায় । এগুলো বীজের অংকুর বের হলে বা ছোট চারা গাছ হলে তখন আবার সক্রিয় হয়ে আক্রমণ করে । বীজ শোধন এর মাধ্যমে অ্যানথ্রাকনোজ,লিফস্পট,ব্লাইট, উইল্ট, গোড়া পঁচার মতো রোগ দমন ও বীজ বপন পরবর্তী এগুলোর সংক্রমণ কিছুটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় ।
🥒🥦চলুন এবার বড় বীজ(সবজি) এর জার্মিনেশন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যাক
১. সিড ট্রে তে কোকোপিট ব্যবহার করে বীজ জার্মিনেশন:
ধাপসমূহ-
মাটি তৈরি – কোকোপিট আর সার একসাথে মেশাতে হবে ।
প্রথমে বীজ গুলো ১ ঘন্টা রোদে শুকায়ে এরপর ৫-৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে (বীজ এর সাইজ এবং খোলস এর পুরুত্বের উপর ভিত্তি করে এই ভিজিয়ে রাখার সময় কম বেশি করতে হবে।) সিড ট্রে নিতে হবে। আগে থেকে তৈরি করা কোকোপিট দ্বারা ট্রে এর হোল বা গর্ত পূরণ করে নিয়ে অল্প পানি স্প্রে করে ভিজিয়ে নিতে হবে । তারপর ট্রে এর গর্তে অল্প গর্ত করে বীজ দিতে হবে। পরে আবার সেই গর্ত কোকোপিট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ।
পানি প্রয়োগ করে কোকোপিট ভালো করে ভিজিয়ে দিতে হবে । শুধু পানি প্রয়োগ না করে ট্রাইকোডার্মা পাউডার মিশ্রিত পানি প্রয়োগ করলে seed germination অধিক হয় এবং ছোট চারার গোড়া পঁচা রোগ দমন হয় ।
তারপর ট্রে কালো রং এর পলিথিন বা খবরের কাগজ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে । এভাবে ঢেকে দেওয়ার কারণ ,যেনো আদ্রর্তা বজায় থাকে । আদ্রর্তা জার্মিনেশনে বা বীজ থেকে চারা বের হতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে । সঠিক আর্দ্রতা না পেলে বীজ জার্মিনেট হবে না।(গরমকালে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে তাই , তখন পাত্র ঢেকে দেওয়ার প্রয়োজন পরে না । শীতকালে অব্যষই পাত্র কালো রং এর পলিথিন বা খবরের কাগজ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ।) এর পর পাত্র –
🚫 খোলা জায়গায় রাখা যাবে না এবং
🚫বৃষ্টিতে ভেজানো যাবে না
🚫 আলো পূর্ণ জায়গায় এবং
🚫অনেক স্যাঁতস্যাঁতে জায়গাতেও রাখা যাবে না।
✅কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় রেখে দিতে হবে।
কোকোপিট এ বীজ অঙ্কুরোদগম রেট মাটির চেয়ে বেশি । কারণ, কোকোপিট স্বাভাবিক ভাবে ছত্রাকরোধী ভূমিকা পালন করে । এছাড়াও মাটির চেয়ে আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা এবং পানি ধরে রাখার ক্ষমতা বেশি । এসব কিছু বীজ জার্মিনেশনে অধিক সহায়তা করে ।
কৃষিবিদ এর থেকে যেকোনো প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেতে 01939668463 এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
Reviews
There are no reviews yet.